বাংলাদেশ এবং বর্হিবিশ্বের মাঝে খাদ্যশস্য, জ্বালানি, ভোজ্য তেল, পোশাক, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য, চা, চামড়া, রাসায়নিক দ্রব্যসহ কনটেইনারজাত যে কোন মালামাল আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে জাহাজ ও জলযোগাযোগ সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য। অপরদিকে বাংলাদেশের রয়েছে ৭২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র জলসীমানা। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলটি বঙ্গোপসাগর তথা ভারত মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত। ফলশ্রুতিতে আমাদের আমদানি ও রপ্তানির প্রায় নববই শতাংশ সমুদ্রপথেই হয়ে থাকে। একটি সাগর তীরবর্তী নদীমাতৃক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের নিজস্ব কার্গো, কনটেইনার এবং ট্যাংকারের বিভিন্ন আকৃতির জাহাজের বহর থাকা অত্যাবশ্যকীয়।
“TruckBD 71 সার্ভিস সেন্টার সততা-আস্থা-বিশ্বাস” এর সাথে গুনগত মান, সঠিক দাম নিয়ে পথচলা একটি প্রতিষ্ঠান। ব্যবসার পাশাপাশি অনগ্রসরমান এই সেক্টরে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্রাহকের কাছে সঠিক তথ্য উপস্হাপনের কাজ নিরলস ভাবে করে যাচ্ছে। আমরা অত্যন্ত পেশাদার দায়িত্ব সহকারে বাণিজ্যিক কাজের জন্য দৈনিক অথবা মাসিক চুক্তিতে আপনার চাহিদানুযায়ী কার্গো ভাড়া দেই।
কার্গো ভাড়ার সাধারণ নিয়মাবলীঃ
১। কাজের সময়: প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে মাসে ৩০ দিন বা ৩০*৮=২৪০ ঘন্টা। সাধারনত কাজ শুরু হয় সকাল ৯টা/১০টা এবং শেষ হয় বিকাল ৫টা/৬টা। তবে বিশেষ কোন কারণ ছাড়া ভাড়া গ্রহনকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী ওভারটাইম করা হয়।
২। ওভারটাইম: দৈনিক ৮ ঘন্টা ডিউটির পর ওভারটাইম হিসাবে বিবেচিত হবে। ওভারটাইম দিনে রাতে যে কোন সময় হতে পারে, এ ব্যাপারে আমাদের কোন আপত্তি থাকবেনা। উল্লেখ্য যে ওভারটাইম বিল আনুপাতিক হারে যোগ করা হয়।
৩। জ্বালানী খরচ: সাধারনত কার্গো জ্বালানী খরচ আমদের মধ্যে রাখা হয়। তবে আলোচনা সাপেক্ষে ভাড়া গ্রহনকারীর মধ্যেও রাখা যেতে পারে।
৪। মোবিলাইজেশন: প্রজেক্ট সাইটে কার্গো পৌঁছানোর খরচ (জ্বালানী,ব্রীজ টোল ফেরী) ভাড়া গ্রহণকারীকে প্রদান করতে হবে। প্রজেক্ট সাইট হতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার খরচ আমরা বহন করব। তবে ভাড়ার মেয়াদকাল বেশী হলে আলোচনা সাপেক্ষে হবে।
৫। অপারেটরের থাকার ব্যবস্থা: প্রতিটা কার্গো সাথে একজন অপারেটর ও একজন হেলপারের রাত যাপনের ব্যবস্থা ভাড়া গ্রহণকারীকে প্রজেক্ট সাইটে করতে হবে।
৬। নিরাপত্তা: ভাড়া গ্রহণকারীকে প্রজেক্ট সাইটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। ভাড়া নির্ধারণ ও পরিশোধ: আমরা সাধারনত ভাড়ার মেয়াদকাল কাজের ধরণ দুরত্ব,চাহিদা, কার্গো র সাইজ, ক্রেন ও ড্রাইভারের কোয়ালিটি, বাজারের চাহিদা, সিজন,প্রাপ্যতার ভিত্তিতে ক্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করে থাকি।
৮। পরিশোধ: পারচেজ অর্ডারের সাথে এক মাসের ভাড়া অগ্রীম প্রদান করতে হবে। রানিং বিল প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করতে হবে যা ভাড়া গ্রহনকারীর পারচেজ অর্ডার এ উল্লেখ থাকবে।
৯। চুক্তি পত্র: ভাড়া প্রদান কারী ও ভাড়া গ্রহন কারীর মধ্যে মালিক সমীতির নির্দিষ্ট ফরমেটে ৩০০ টাকার ষ্ট্যম্পে একটা একটা চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করতে হয়। পাশাপাশি ভাড়া গ্রহনকারী কোম্পানীর লেটার হেডে সংশ্লিষ্ট অফিসারের স্বাক্ষরিত একটি পারচেজ অর্ডার প্রদান করতে হবে।
১০। Site Location Visit: যদি আপনি না বুঝতে পারেন আপনার কত টন লোডিং ক্ষমতা ক্রেন লাগবে তাহলে আপনার কাজের ধরন, চাহিদা বিবেচনা করে আমাদের প্রতিনিধি আপনার site location visit করবে।
যে বিষয় গুলো বিবেচনায় আনতে হবে
কার্গো ভাড়া করা খুবই জটিল, স্পর্শকাতর ও টেকনিক্যাল একটি সিদ্বান্ত। এখানে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরন না করার কারণে আপনার পণ্য সময়মত গ্রাহকের নিকট পৌছাবে না। এছাড়া কার্গো ভাড়ার ক্ষেত্রে অনেকে নানা ধরনের প্রতারনা বা হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই কার্গো ভাড়ার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক ও যত্নবান থাকতে হয় তা না হলে বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকি থাকে। এখানে আমরা কিছু কমন ইস্যু উল্লেখ করেছি। তবে নিজ নিজ বাস্তবতা ও বিচার-বিশ্লেষণের আলোকে ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভালো
যাচাই করুন সঠিক ভেন্ডর
আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে কার্গো ভাড়া নিতে চান উক্ত প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ভাবে Valid কিনা এটা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। কারন আপনার প্রজেক্টে অনাকাংখিত দুর্ঘটনার পরিস্হিতিতে আপনার ভেন্ডরের Valid Documents অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করবে। তাই ট্রেড লাইসেন্স,টিন সাটিফিকেট,ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন আছে কিনা ভাল ভাবে যাচাই করুন।